যেদিকে চোখ যায় কেবল উঁচু উঁচু দালানকোঠা। শহুরে জীবনে সবুজের দেখা আর কোথায় পাওয়া যায়! তার ভেতরে ছোট ছোট ঘর। আমরা যাকে চিনি ফ্ল্যাট হিসেবে। দূষণ, গরম ইত্যাদি কারণে নিজের বাসায় থেকেও আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারি না। এর সমাধান চাইলে গাছ লাগাতে হবে। কিন্তু শহরের ছোট্ট বাসায় গাছ লাগানোর সুযোগ কোথায়!
কিছু গাছ আছে যেগুলো ঘরের ভেতরেও বাঁচে এবং আপনার ঘরকে শীতল রাখতে কাজ করে। সবুজের সংস্পর্শে মন সতেজ হবে সহজেই। সেইসঙ্গে ঘরের পরিবেশ হবে স্বাস্থ্যকর। তবে সব ধরনের গাছ এই কাজ করতে পারে না। সেজন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট কিছু গাছের। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি গাছ সম্পর্কে-
মানিপ্ল্যান্ট
যাদের বাড়িতে অল্পস্বল্প হলেও গাছ আছে, তাদের পছন্দের একটি গাছ হলো মানিপ্ল্যান্ট। এটি আলো ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে, আবার প্রয়োজন হয় না তেমন কোনো যত্নেরও। ঘরের যেকোনো কোণে এই লতানো গাছটি রাখতে পারেন। এটি দূষণ শোষণ করে বাতাসকে বাসযোগ্য করতে সাহায্য করবে। এটি বেনজিন, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, ফর্মালডিহাইড, জাইলিন শোষণ করে। মানিপ্ল্যান্ট সহজলভ্য, তাই এটি সহজেই বাড়িতে রাখতে পারেন।
এরিকা পাম
বেশিরভাগ অফিসে কিংবা রুচিশীল কারও বাড়িতে আপনি এই গাছ দেখতে পাবেন। এমনকী হাসপাতালের করিডোরেও এই গাছ রাখতে দেখা যায়। এর কারণ বাতাস শুদ্ধ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে এরিকা পাম। আপনার বসার ঘরের অন্যতম শোভাবৃদ্ধি কারী হতে পারে এই গাছ। শোভা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আপনার ঘর শীতল রাখতেও কাজ করবে। এই গাছের জন্য সামান্য আলো ও মাঝে মাঝে পানি দেওয়া ছাড়া আর বিশেষ কিছুর দরকার নেই।
জারবেরা ডেইজি
জারবেরা শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এর গাছ বাড়িতে রাখারও আছে অনেক উপকারিতা। যেমন এর বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা এবং বাতাস থেকে দূষিত কণা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। যা সম্পর্কে আমাদের বেশিরভাগেরেই ধারণা নেই। এই গাছ বাঁচানোর জন্য শীতের সময় ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত সূর্যরশ্মির। ভালোভাবে পানি দিতে হয় যেন মাটি সব সময় ভেজা থাকে। এটি শোবার ঘরের জন্য উপযুক্ত গাছ।
ইংলিশ আইভি
নাসা এর গবেষকদের মতে, এই গাছ মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের প্রায় ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে। ঘরের শোভা বাড়াতেও কাজ করে এটি। তাই ঘর ঠান্ডা ও দূষণমুক্ত রাখতে ঘরে রাখতে পারেন এই গাছ।
পিস লিলি
নামের মধ্যেই এক ধরনের শান্তি শান্তি ভাব রয়েছে। এটি বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে কাজ করে। এই গাছ সামান্য আলোতেও বেড়ে উঠতে পারে। পাতা হলুদ হয়ে গেলে বুঝবেন পর্যাপ্ত রোদ পাচ্ছে না। এই গাছে অল্প পানি দিলেই যথেষ্ট। । ঘরের বাতাস থেকে বেনজিন, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, ফর্মালডিহাইড, জাইলিন শোষণ করে পিস লিলি। গ্রীষ্মকালে ফোটে চমৎকার সাদা ফুল। তবে এই ফুল ও গাছ শিশুর নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।